কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল কর্মসূচি |
|
সেবা প্রাপ্তির সংক্ষিপ্ত বিবরণ |
কোন প্রতিষ্ঠানে বা নিজ গৃহে কর্মরত দরিদ্র গর্ভবতী/দুগ্ধদায়ী মা নির্ধারিত ফরমে উপজেলা কমিটি/সরাসরি উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার নিকট আবেদন করেন অথবা দায়িত্বপ্রাপ্ত এনজিও/সিবিও, ওয়ার্ড কমিশনার, মহিলা ওয়ার্ড কমিশনার অথবা নিবন্ধিত মহিলা সমিতিসমূহের নিকট হতে সম্ভাব্য উপকারভোগীদের তালিকা দায়িত্বপ্রাপ্ত সংগ্রহ করেন এবং পূরণকৃত আবেদন ফরমসহ উপজেলা কমিটিতে উপস্থাপন করেন। উপজেলা কমিটি উক্ত তালিকার সম্ভাব্য উপকারভোগীদের সরেজমিনে পরিদর্শন করে নামের তালিকা চূড়ান্ত করেন। চূড়ান্ত তালিকানুযায়ী নির্বাচিত উপকারভোগীর নামে অনলাইন হিসাব (ব্যাংকিং/মোবাইল ব্যাংকিং) খোলার বিষয়টি নিশ্চিত করত এতদসংক্রান্ত সফট্ওয়্যার DWA-MIS এ ডাটা এন্ট্রি করার পর G2P পদ্ধতিতে সরাসরি ভাতাভোগীর নিজস্ব হিসাব নম্বরে ভাতার অর্থ প্রদান করা হয়ে থাকে। বর্তমানে একজন ভাতাভোগী মাসে ৮০০/-(আটশত টাকা) হারে ৩ বছর পর্যন্ত ভাতা পেয়ে থাকেন।
|
সেবা প্রাপ্তির সময় |
৩ মাস ১০ দিন |
প্রয়োজনীয় ফি |
বিনামূল্যে |
সেবা প্রাপ্তির স্থান |
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় |
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/কর্মচারী |
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা/হিসাবরক্ষক কাম ক্রেডিট সুপারভাইজার/অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর |
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র |
প্রাথমিক তালিকা সংগ্রহের সময় আবেদনপত্রের সাথে নিচের সনদগুলো সংযুক্ত থাকতে হবে- - স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ অথবা প্রথম শ্রেণির ডাক্তার কর্তৃক প্রদত্ত প্রথম/দ্বিতীয় সন্তানের প্রত্যয়ন - স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ অথবা প্রথম শ্রেণির ডাক্তার কর্তৃক প্রদত্ত প্রেগনেন্সি সনদ; - জাতীয় পরিচয়পত্র (আবশ্যক) - নিজ নামে নিবন্ধিকৃত একটি সচল মোবাইল নাম্বার - স্থানীয় নাগরিকত্বের সনদ; - পৌর এলাকার বাসিন্দা এই মর্মে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রত্যয়ন-স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ অথবা প্রথম শ্রেণির ডাক্তার কর্তৃক প্রদত্ত প্রথম/দ্বিতীয় সন্তানের প্রত্যয়ন; - বিজিএমইএ/বিকেএমইএ এর আওতাভুক্ত নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত এই মর্মে প্রত্যয়ন; - পৌর এলাকার বাসিন্দা এই মর্মে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রত্যয়ন।
|
সেবা প্রাপ্তির শর্তাবলি |
শর্তাবলীঃ- - বয়স ২০-৩৫ বছরের মধ্যে হতে হবে; - মাসিক মোট আয় ৫০০০/-টাকা অথবা তার নিচে এবং অন্য কোনো আয়ের উৎস নেই; - বিজিএমইএ/বিকেএমইএ এর আওতাভুক্ত নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত দরিদ্র, দুস্থ দুগ্ধদায়ী এবং গর্ভবতী মহিলা হতে হবে; - স্থায়ী বাসিন্দা অর্থাৎ ভোটার হতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রত্যয়ন থাকতে হবে; - দরিদ্র প্রতিবন্ধী কর্মজীবী গর্ভবতী/দুগ্ধদায়ী মা ভাতাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন; - প্রথম ও দ্বিতীয় গর্ভের সন্তান গর্ভাবস্থায় বা প্রসব হতে সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের জন্য এক ব্যক্তি জীবনে একবার এ ভাতা পাবেন; - তৃতীয় বা তৎপরবর্তী সন্তান জন্মদানের জন্য কোনো কর্মজীবী মা এই ভাতা পাওয়ার যোগ্য হবেন না। তবে প্রথম ও দ্বিতীয় গর্ভের সন্তান গর্ভাবস্থায় অথবা জন্মের দুই বছরের মধ্যে মারা গেলে তৃতীয় গর্ভকাল বিবেচনা করা যাবে। কোনো কর্মজীবী মায়ের একাধিক বিবাহ হলেও একই নিয়ম প্রযোজ্য; - সন্তান জন্মের দুই বছরের মধ্যে মারা গেলে সংশ্লিষ্ট মা ২৪ মাস পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত ভাতা পাবেন; - নির্বাচিত মা দুই বছরের মধ্যে মারা গেলে ভাতা বন্ধ হবে। সন্তান জীবিত থাকলে বৈধ অভিভাবক ভাতা পাবেন।
|
সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি |
“কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল কর্মসূচি” বাস্তবায়ন নীতিমালা নভেম্বর-২০১১
|
সেবা প্রদানে ব্যর্থ হলে প্রতিকারকারী কর্মকর্তা |
উপজেলা নির্বাহী অফিসার/উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা |
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস